ঘুমানোর আগে অজু করা:
যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় রাত্রিযাপন করে, তার সাথে একজন ফেরেশতা থাকে, যিনি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইমাম ইবনে হিব্বান (রহঃ) ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন:
"যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করে, তার শরীরের সাথে একজন ফেরেশতা থাকে। যখন সে ঘুম থেকে জাগে, ফেরেশতা বলে: হে আল্লাহ! আপনার বান্দা অমুককে ক্ষমা করুন, কারণ সে পবিত্র অবস্থায় রাত্রিযাপন করেছে।"
(সহীহুত তারগীব, হাদিস নম্বর: ৫৯৭)
অজু করার পর নিম্নোক্ত জিকির গুল আদায় করবেন 🔽
سُبْحَانَ اللَّهِ (৩৩ বার)
الْحَمْدُ لِلَّهِ (৩৩ বার)
اللَّهُ أَكْبَرُ (৩৩ বার)
তারপর সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত
أَعُوذُ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ.
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ.
উচ্চারণ:
আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রজিম।
আমানার রাসুলু বিমা উনজিলা ইলাইহি মিন রাব্বিহি ওয়াল মুমিনুনা। কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালায়িকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি। লা নুফাররিকু বাইনাহ আহাদিম মিন রুসুলিহি। ওয়া ক্বালু সামি'না ওয়া আত্বা'না। গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।
লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মা ইক্তাসাবাত। রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন নাসিনা আও আখতআনা। রাব্বানা ওয়া লা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাজিনা মিন ক্ববলিনা। রাব্বানা ওয়া লা তুহামমিলনা মা লা ত্বাক্বাতা লানা বিহি। ওয়া'ফু আন্না ওয়া’গফির লানা ওয়া'রহামনা। আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কওমিল কাফিরিন।
ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি রাতের বেলা সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে, তা তাকে যথেষ্ট হবে।"
(সহীহ বুখারি, হাদিস: ৫০০৯)
তারপর আয়াতুল কুরসি পড়বেন:
أَعُوذُ بِاللّهِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ.
ফজিলত:
যে ব্যক্তি এ আয়াতটি পড়বে, সে জিনদের থেকে রক্ষা পাবে এবং রাতব্যাপী আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে। এটি বিশেষভাবে উপকারী, এবং রাসুল ﷺ বলেছেন যে, এটি পড়ে যে কেউ রাত কাটাবে, সে সকালে জিনদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
তারপর নিম্ন নিয়মে শরীর বন্ধ করে নিবেন:
প্রথমে উভয় হাতের তালু মোনাজাতের মতো একত্রিত করে চার কুল অর্থাৎ: সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে হাতের তালুতে ফু দিয়ে হাত দ্বারা শরীরের যতটুকু অংশ মোছা যায় মুছে নিবেন ( প্রথমে মাথা, তারপর মুখ, তারপর শরীরের যে কোন অংশ মুছে নিন )
স্বপ্নে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে করণীয়:
পুনরায় উপরোক্ত সুরাগুলো পড়ার পর ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলে থুতু দিয়ে ওই থুতু উভয় ঠোঁটে মেখে নিবেন।